নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ মাদক, ইভটিজিং ও ডেঙ্গু মশা নিধনের করনীয় দিক তুলে ধরে স্কুল শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সাথে স্কুল ড্রেস ও স্কুলের নিয়ানুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চুল কেটে স্কুলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। নয়ত থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ওইসব নিয়ম অমান্যকারী শিক্ষার্থীদের ধরে সেলুনে নিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হবে বলে জানান।

আজ শনিবার সকালে কাঁচপুর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মাদক, ইভটিজিং ও ডেঙ্গু মশা নিধনের করনীয় দিক নির্দেশনা মুলক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন এসআই আজাদ।

তিনি আরো বলেন, এ সরকারের আমলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে দেশের এক স্বার্থন্নেসী একটি মহল দেশের ভেতর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারা এক এক এসময় একটি গুজব সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়। সেসব স্বার্থন্নেসী মহলের গুজবে আমাদের কান দিলে চলবে না। কারন তোমরা ছাত্র, এখন তোমাদের ভাল কিছু শিখতে হবে। তোমরা ভাল শিখতে পারলে ভবিষ্যৎতে জাতিকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারবে। তোমরা কোন গুজব বা স্বার্থন্নেসী মহলের কথায় কান দিবে না। তোমরা ভাল কিছু নিবে মন্দ সব বর্জন করবে। তাহলে আগামীতে সুন্দর ভাবে দেশকে পরিচালনা করতে পারবে। আর একটি দেশকে সুন্দর ভাবে পরিচালনার মানে হচ্ছে সবদিক দিয়ে দেশ এগিয়ে নেয়া আর দেশ এগিয়ে গেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। এ জন্য তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ বর্তমান সরকারের প্রত্যেকটি ভাল কাজে তোমাদের এগিয়ে আসা ও দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে জনগনের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা। দেশে যে অদ্ভুদ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেখানেই তোমরা জনগনের পাশে দাড়িয়ে তাদের সেবা ও সহযোগিতা করবে। আর বিদ্যালয়ের শিক্ষদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনবে তারা যা বলবে তোমরা তাই শিখবে। একজন শিক্ষক একজন পিতার মত। পিতা-মাতা যেমন সন্তানের অমঙ্গল চায় না তেমনি শিক্ষকরাও ছাত্রদের অমঙ্গল মন্দ চায়না। তোমরা সব সময় বিদ্যালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয় স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে আসবা এবং স্কুল ড্রেস অনুযায়ী মাথার চুল কেটে আসবা। কেউ যদি শিক্ষকদের কথা অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মতো চুল কেঁটে বিদ্যালয়ে আসো তাহলে নাপিত এনে মাথা ন্যাড়া করে দিবো। আমরা চাইনা নাপিত এনে তোমাদের মাথা ন্যাড়া করে তোমাদের লজ্জা দেয়া হওক। তাই তোমরা শিক্ষকের কথা মত মাথার চুল কেঁটে আসবা ও নিধারিত স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলের এসে পড়াশোনা করবা। আমরা মাঝে মধ্যে এসে তোমাদের খোঁজ খবর নিব। যাতে কোন বখাটে স্কুল সময় কোন ছাত্রীকে রাস্তায় দাড়িয়ে ইভটিজিং করতে না পারে। সেজন্য তোমরাও আমাদের সহযোগিতা করবে।